বেচারা আবদি


বেচারা আবদি
গৌতম দাস

৮ জুন ২০২৩    ০০ঃ ০১ মধ্য রাত
https://wp.me/p1sCvy-4AX

 

India’s Stakes at Risk as the US Armtwists Bangladesh Over Election

 

এমন আবদি সাব-রে লইয়া আমরা কী করিবঃ
এসএনএম আবদি [SNM ABDI]
ভারতের প্রিন্ট মিডিয়া জগতে একজন সম্পাদক। এখন অবশ্য কোন মিডিয়ায় নাই, তবে ‘র’-এর সাথে সম্পর্কিত। তার এক দুঃখ-কাহিনী ভরা লেখা প্রকাশিত হয়েছে গতকাল ৬ জুন, ভারতের কুইন্ট [The QUINT] পত্রিকায়। সেখানে লেখার শেষে আবদির পরিচয় দেয়া হয়েছে  আউটলুক পত্রিকার সাবেক ডেপুটে এডিটর হিশাবে। আউটলুক-কে ভারতের মাপে “প্রগতিবাদী” মিডিয়া গণ্য করা হয়। আর কথিত মোদির-সেকুলার ভারতে কোন মুসলমান এডিটরের জন্য “প্রগতিশীলতাই” সবচেয়ে ভাল সার্টিফিকেট হয়ত!
কিন্তু আবদি সাব এখন দেখি লেখাটা লিখেছেন য়াগের মতই ভারতের গোয়েন্দা বিভাগের জন্য বা হয়ে। আজকাল তাঁর মত লেখকেরা এতই বেপরোয়া হয়েছেন যে সরাসরিই ‘র’-এর নাম লিখতেও  আর এদের ডর-লজ্জা করে না। ভদ্র ড্রয়িইং রুমে ‘র’-এর নাম প্রকাশ্যে উচ্চারণ করা অসভ্যতা, বেয়াদবি মানা হবে এজন্য যে র [RAW] এই সংগঠন ভিনদেশে অন্তর্ঘাতমূলক বা subversive কাজ করে, অবলীলায় নিজ স্বার্থে সেদেশের নিরীহ মানুষও মেরে ফেলতে পারে, কেবল  এই হত্যাকে নিজদেশের স্বার্থ মনে করলে। যেটা বলাই বাহুল্য, মানুষ জগতের কাছে সাধারণভাবে গ্রহণযোগ্য আদব-স্বভাব নয়; যদিও তা কোন দেশের রাষ্ট্রস্বার্থ হতেই পারে। একারণে ‘র’-এর নাম প্রকাশ্য উচ্চারণ এড়িয়ে চলা ভদ্রতার রেওয়াজ!  যেমন আপনি কখনই বলতে পারেন না বা বলবেন না যে ওমুকের বাসা থেকে আপনি এটা চুরি করে এনেছেন! এটা হয় না!  কিন্তু  একালে আবদি বা সুবীর ভৌমিক দেখা যাচ্ছে এসব পরোয়া করা ছেড়ে দিয়েছেন। তাদের কাছে  ভদ্র-অভদ্র হলে কিছুই যায় আসে না।  বরং ‘র’-এর ক্ষমতা বা সাফল্য দেখানোই যেন গর্বের কাজ!

আবদির এলেখার মুলকথাটা হল – লিখেছেন, বাংলাদেশে আমেরিকার ভিসা নিষেধাজ্ঞা এতে “ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়, বিদেশে অন্তর্ঘাতমূলক ততপরতা চালানো গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’, ন্যাশনাল সিকিউরিটি সমন্বয়ক সেক্রেটারিয়েট এবং এমনকি প্রধানমন্ত্রীর অফিস সকলেই বিরাট এক ঝাঁকি [jolted ] খেয়েছে”। মানে আবদি সাব বেচারা দুঃখ পেয়েছেন এমনভাবে ভারতের গুরুত্বপুর্ণ সকলকে ঝাঁকি দিয়ে ছুড়ে ফেলে দেওয়াতে! দেখেন নিচের ইংরাজিটা……

It has jolted the Ministry of External, Affairs,
the Research and Analysis Wing,
the National Security Coordination Secretariat, and even the Prime Minister’s Office.

দুবছর আগেও এমনই গোয়েন্দা বিভাগের এক ফরমায়েসি লেখা লিখছিলেন আবদি। আর এসবেরও আগে ২০১১ সালে তিনি বাংলাদেশে  প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং এর সফরসঙ্গী হিশাবে এসেছিলেন। তখন অবশ্য তিনি দ্যা ফাস্ট পোস্ট -এই নামের ইংরাজি দৈনিকের সম্পাদক ছিলেন। মানে এখন [কংগ্রেস-ভার্সানে] গোয়েন্দাবিভাগের সাথে সম্পর্কিত তিনি। আর মনমোহনের যেই সফরটা ছিল এক প্রতারণার সফর – তিস্তার পানির বিনিময়ে করিডোর নেওয়ার কথা থাকলেও আজও সেই প্রতিশ্রুতি ভারত পূরণ করেনি, অথচ করিডোর ভোগ করে চলেছে সমানে ও অবলীলায়। এটাকেই ভারতের সাফল্যও মনে করছেন এরা।

এবার যে পত্রিকায় আবদির লেখা ছাপা হয়েছে তার সম্পর্কেও দুকথা বলা দরকার। একালে নাগরিক অধিকারের উপর আক্রমাণাত্মক মোদি সরকারের ভারতে, এখনও সবার চেয়ে মাথা উচু করা সাহসী ভারতীয় মিডিয়াটা হলে ওয়াইর [WIRE] । বাকিরা  টিকতে পারে নাই। আর ওয়াইর-এর পরে যে এখনও মোদির টাকার লোভ আর চাপ সামলিয়ে এখনও  কিছু করে দাঁড়িয়ে থাকার চেষ্টা করে যাচ্ছে সেই পত্রিকা হল কুইন্ট [the QUINT]   যদিও আবদির লেখার কোন দায়িত্ব তারা নিতে চায় না তা জানিয়ে রেখেছে।

আবদির গতকালের লেখা প্রসঙ্গেঃ
এলেখার  শিরোনামেই বাংলাদেশে ভারতের হার ও ভারতের স্বার্থ বিপদে আছে স্বীকার করে নেয়া হয়েছে আর এরপর ছটপটানি-তে বাঁচার চেষ্টা করছেন যেন, এভাবে লেখা। যার শিরোনাম লিখেছে এভাবে, India’s Stakes at Risk as the US Armtwists Bangladesh Over Election মানে “বাংলাদেশের নির্বাচন ইসুতে আমেরিকার হাত-মুচড়ানো থেরাপির প্রয়োগে ভারতের স্বার্থ একেবারে ধরা”
শুরুর প্যারায় লিখছেন, বাংলাদেশে “আমেরিকার ভিসা নিষেধাজ্ঞার চাপ এটা ভারতের জন্য সত্যিই এক খারাপ সংবাদ” [is really bad news for India]। কিন্তু তিনি কেন বাংলাদেশের উপর আমেরিকার ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় এক ভিন্ন দেশ ভারত এতে নিজের বিপদ দেখছে?? তা জানা যায় না!

তবে তাঁর পরের প্যারাটা সবচেয়ে মজার। এবার এখানে তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন যে হাসিনা ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে হাসিনা অগণতান্ত্রিক, অবৈধ ও আইন-বহির্ভুত কায়দায় জিতেছিলেন। তাই লিখেছেন, “ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্য পরিস্কার। এটা হাসিনা সরকারকে এমন এক শক্ত-ঘেরটোপের ভিতরে ফেলেছে তাতে হাসিনা যেন আর ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মত করে অগণতান্ত্রিক, অবৈধ ও আইনবহির্ভুত উপায়ে ভোটে কারচুপি করতে না পারে। কিন্তু বিপরীতে দিল্লি যেকোন উপায়ে হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় দেখতে চায়” । দেখেন দেখি আবদির আবদার!!!

Washington’s intention is crystal clear. It has put Prime Minister Sheikh Hasina’s Awami League government on a tight leash to dissuade it from resorting to undemocratic, illegal, and extra-constitutional methods to win the upcoming general elections like the previous rigged elections in 2014 and 2018. But New Delhi, in contrast, wants Hasina to win by any means”.

আবদির এই প্যারাটা একদিকে সততার সাথে মন খুলে বলা তার মনের কথা (মানে চোরের মনে কথার মত) আর বলাই বাহুল্য তা চোরামির গল্প সবাইকে খুলে বলার মতই এক গাধামি অবশ্যই!  আবার অন্যদিকে যেকোন সাফাই-বক্তব্যে অন্যতম দিক হলে সেটাকে একটা ন্যায়-ইনসাফের উপর দাঁড়ানো কথা হতেই হয়। অথচ আবদি আমলই করছেন না যে তার খায়েস-আকাঙ্খা যেটা ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা বা মোদি সরকারের খায়েস-আকাঙ্খা  – সেটার পিছনে কোন ন্যায়-ইনসাফের লেশ মাত্র নাই!
যেমন আবাদির শেষ বাক্যটা দেখেন  New Delhi, in contrast, wants Hasina to win by any means” – আমেরিকার ইচ্ছার বিপরীতে ভারত চায় যেকোন উপায়ে নির্বাচনে জিতানো ।
আচ্ছা আবদি সাব, বলেন তো দেখি  তার মানে যেটা হাসিনাকে যেকোন উপায়ে জিতানোর ভারতীয় খায়েস সেটা কী আর কোন “নির্বাচন” থাকে?? না কারচুপি হয় সেটা??? এছাড়া এভাবে ভারত অন্যায়-বেইনসাফিতে যদি হাসিনা জিতাতে চায় তাহলে বিপরীতে আমেরিকার বাংলাদেশে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপকে হস্তক্ষেপ বলার সুযোগ বা নৈতিকতা কী আর ভারতের থাকে??? আবদি ‘র’-এর খেদমতে এতই মশগুল যে এই বেইনসাফি দিকটার দিকে তাঁর কোন চোখ নাই, আমল নাই!!!

ভারতীয় লেখকেরা বিশেষ করে যারা মোদির কোলে বসে লেখেন তারা এত উচ্চমাত্রার উগ্রজাতিবাদে ভুগেন যে তাদের কাছে ন্যশনাল ইন্টারেস্ট বলে এক  আজিব ধারণা তাদের লালন করতে দেখা যায় যা অনুসারে ভারতের স্বার্থ-রক্ষার্থে তারা যাই করুক তা জায়েজ ও বৈধ হয়ে যাবে – বলে এক আজিব ধারনা তারা লালন করে থাকে। আবদিও এমনই এক লোক।
আবদি লিখছেন, “একদিকে আমেরিকা হাসিনার প্রতি অবিশ্বাসে মাত্রা তুঙ্গে নিয়ে গেছে যে সে হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চায়, অন্যদিকে ভারতের সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার হচ্ছে যেকোন উপায়ে হাসিনাকে ২০২৪ এর নির্বাচনে চতুর্থবারের মত জিতিয়ে আনা; আর এটাই
তার বিদেশনীতি-কাম নিরাপত্তা স্বার্থ”।
নিচে মূল ইংরাজিটা।

“On the one hand, the US has such grave misgivings about Hasina that it wants to evict her from power. And on the other hand, the biggest priority of India’s foreign policy-cum-security establishment is to get Hasina re-elected in January 2024 for a fourth successive term at any cost.”

তাঁর মানে যেটাকে ভারতের কথিত “জাতীয় স্বার্থ” মনে করা হবে সেটা ভারত চাইলেই পাবে আর তা পাওয়ার জন্য ভারত সবকিছু করতে পারবে; তাতে আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গ বা নিজ রাষ্ট্রীয় এক্তিয়ারের বাইরে তা চলে গেলেও অথবা  অন্যদেশের সার্বভৌমত্ব এক্তিয়ার ভঙ্গ করলেও যেন কিছু এসে যায় না। অর্থাৎ সারকথাটা হল, ভারত সেটাকে তার জাতীয় স্বার্থ মনে করছে কিনা – এই হবে মাপকাঠি। এই মাপকাঠি ধরে সব জায়েজ মনে করতে হবে!! যদি খালি  ভারত মনে করে তাহলেই ভারত তা আদায় করতে পারবে!!!!
তবে এই কথা শুনে তো আমাদের হাততালি দিয়ে উঠা উচিত। কারণ তাহলে, মোদি দেখতে খুবই খারাপ তুলনায় রাহুল অনেক হ্যান্ডসাম ছোকড়া। ফলে বাংলাদেশ যদি মনে করে মোদিকে উপড়ায়ে ফেলায় দিয়ে রাহুল কেন  বরং মমতাদিদিকে যদি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতায় নিয়ে আসি আর খালি সেটা যদি বাংলাদেশের ন্যাশনাল ইন্টারেস্ট বলে ঘোষণা করে দেই তাহলে তো আমরাও  ইচ্ছামত ভারতের সরকার বদলাতে পারব, তাই না??? কী মজাই না হবে!!! সত্যি! আবদি নিশ্চয় এতে খুশি হয়েছেন?

এরপরে এসে এই বার আবদি সাবের হুশ এসেছে যে তাহলে বাংলাদেশ নিয়ে আমেরিকা-ভারতের কাড়াকাড়িতে তাহলে ভারত কী সবসময় মার খেয়েই যাবে? পরিস্থিতি সবসময় আমেরিকার পক্ষে ছেড়ে দিয়ে ভারত কী স্যাক্রিফাইস করেই যাবে নাকি উলটা আমেরিকাকে অমান্য করবে অথবা এমন অমান্য করা কী ঠিক হবে?  এই ধরণের লোমছোম কথাবার্তা  লিখে চলেছেন আবদি……The gaping chasm underlines the India-US conflict over Bangladesh and raises valid questions about India’s capabilities to pursue its goal defying the US – and whether it is wise to do so. It also flags gross US insensitivity to India’s interests even in India’s own backyard and how the US always expects India to quietly sacrifice its interests for America if they happen to clash!

মজার কথা হল, এরপরেও আবদি মনে করেন, বাংলাদেশ হল নাকি ভারতের বাগানবাড়ি বা শখের মামাবাড়ি  ফলে সেখানে কেন আমেরিকান মাতব্বরি চলবে [India’s interests even in India’s own backyard] এনিয়ে ক্ষোভ জানাচ্ছেন তিনি। কিন্তু বাংলাদেশ ভারতের কোন বাপের বাগানবাড়ি সেটা অবশ্য আমরা বাংলাদেশিরা জানি না বা মানিও না…।

তিনি এরপরেও আবার ভারতীয় জাতীয় স্বার্থের কথা তুলেছেন। বলছেন ভারতের কাছে পরীক্ষিত বন্ধু হল নাকি হাসিনা! আর ওদিকে আমেরিকা সে না হাসিনার পক্ষে না আওয়ামি লীগের পক্ষে – আমেরিকা কেবল সরকার বদল বা শাসক বদলে দিবার পক্ষে!!! For India, there is no alternative to Hasina – New Delhi’s tried and tested ally. But the US is neither in Hasina’s nor Awami League’s favour – it is in favour of an outright regime change, no less.
মানে হল আবদি বলছেন ভারত নামের এই বাচ্চাটার মুড়ির মোয়া ভালো লেগেছে এখন তাকে তার হাতে সেটা না  দিয়ে অন্যকিছু দিলে কী তার ভাল লাগবে? আসলে আমেরিকা কতই না নিষ্ঠুর আর কী বলব!!! মাসুম বাচ্চা ভারতের কথা একবারো ভাববে না?????

এরপর তিনি হাসিনাকে এক মারাত্মক সম্ভাব্য পরিণতি কী হতে পারে তা ভেবে সাবধান করেছেন। বলছেন, সাবধান “…… There is a very high probability of visas of Hasina’s immediate family members……” কথাটার বাংলা করলে,  হাসিনার আপন পরিবারের সদস্যদের উপরও আমেরিকা ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ [মানে তারাও যেন আমেরিকায় প্রবেশাসধিকার না পায় বা থাকলে বের করে দেয় ] এমন ব্যবস্থা জারি হতে পারে……।।

তবে আসলে,  আবদি লোকটার চিন্তা ভাবনা খুবই ভোঁতা আর বোকা-বোকা কিসিমের, সন্দেহ নাই। যেমন বলতেছেন, হাসিনা ক্ষমতায় না থাকলে বাংলাদেশ নাকি চীন আর পাকিস্তানিতে ভরে যাবে। মানে সেই আশির দশকের সব অচল চিন্তাভাবনা – হিন্দু-মুসলমান রেষারেষিতে ফেলে পেটি-মধ্যবিত্ত যেভাবে চিন্তা করে বা করত!  এর মানে  উনি জানেনই না যে হাসিনার সাথে একালে খুবই ও সবচেয়ে ভাল সম্পর্ক হল পাকিস্তানের; বাংলাদেশ পাকিস্তানি হাই-কমিশনারেরও। এছাড়া, চীন ২০১৬ সাল থেকে চীনের হাত খুলে অবকাঠামো ঋণ দেয়া যা একচোটে প্রায় ২৬ বিলিয়ন যা বাংলাদেশের জীবনে মোট বাকি সবার দেওয়া ঋণের চেয়েও বেশি। আর এটাই হাসিনার উন্নয়নের গল্পের পিছনের মূল রসদ। তাদের দলের চোরদের খাই মিটানোর উপায়!! একই অবস্থা ভারতের। চীন-ভারতের বাণিজ্য এখন বছর ১১৫ বিলিয়নের (যার মধ্যে চীন থেকে ভারতে আমদানি ৯৮.৫বিলিয়ন বাকিটা চীনে রপ্তানি) কাছাকাছি তাতে লাদাখ সীমান্তে চীন-ভারতের যতই লড়াই ঝগড়া থাক। আবাদি-কে এসব দিকে চোখ তুলে তাকাতে শিখতেই হবে – আশির দশকের পরে এখনও পুরাণা চিন্তা বা পুরাতন গল্প ইত্যাদি এসবের উপর দাঁড়িয়ে কথা বলেই চলার এটা হল বেকুবের সাহস!

এককথায় বললে আবদি আসলে হারু পার্টি। তিনি আগাম ধরে নিয়েই লিখতে বসেছেন যে [যেটা উনি ঠিকই বুঝেছেন] যে গত পনেরো বছর ধরে ভারত হাসিনার বাংলাদেশকে  যে চুসা চুসে গিয়েছে সেসব দিন এখন ফুরিয়ে আসছে। তাই প্রতিটা বাক্যে আবদি তিনি আপসোস ঝড়িয়ে কথা বলেছেন। এমনকি আরেক বাঙালি পেটি কর্মকর্তা – ঢাকায় ভারতের সাবেক এক হাইকমিশনার পিনাক রঞ্জন চক্রবর্তী – তাঁর কথিত এক বাণী স্মরণ করেছেন আবদি। আবদি বলছেন ২০১৮ সালের দিকে পিনাক রঞ্জন লিখেছিলেন – “হাসিনার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দেয়া এই অসৎ উদ্দেশ্যে করা একটা কাজ …the Awami League removed the provision for caretaker government “with malafide intent to give it control over the election process”. ” –  যেটা নির্বাচনি প্রক্রিয়ার উপর হস্তক্ষেপ করতে চেয়ে করা কাজ…”।

In a rare criticism of Hasina by an Indian official, Pinak Ranjan Chakraborty who served as India’s Ambassador in Dhaka from 2007 to 2009, wrote in 2018 post-retirement that the Awami League removed the provision for caretaker government “with malafide intent to give it control over the election process”.

শেষ কথাটা হল, আবদি দেখতে পেয়েছেন, “বাংলাদেশ এখন আমেরিকার পরামর্শের পক্ষেই ক্রমশ ঝুকে যাকচ্ছে এবং যাবেই; আর এতে সবকিছুই বিএনপির পক্ষে চলে যাচ্ছে…”

আমাদের শেষের বাক্যে মাত্র দুইটা শব্দ – বেচারা আবদি!  

>>>>>
গৌতম দাস

রাজনৈতিক বিশ্লেষক
goutamdas1958@hotmail.com

Leave a comment