লিয়াকত হোসেন রাজশাহী: রাজশাহীর পদ্মা নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলায় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে সংস্কার করা বাঁধ ধ্বংসের পথে। পাশাপাশি পদ্মার তীরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কসহ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী আজ হুমকির মুখে। খোজ নিয়ে জানা যায়, ১১টি পয়েন্ট থেকে প্রতিদিন হাজারো বালু ভর্তি ভারি ট্রাক বালুমহাল সংলগ্ন রাস্তার উপর দিয়ে নিয়মিত যাতায়াতের ফলে রাস্তাগুলো ভেঙে পড়েছে। এতে সেই রাস্তা ব্যবহারকারী এলাকাবাসীকে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। এই রাস্তাগুলো নির্মাণে প্রায় ছয় থেকে সাত কোটি টাকা ব্যয় করা হয়েছে। এর আগে নিরাপত্তার কারণে নদীর বাঁধের দুই কিলোমিটারের মধ্যে বালু তোলা নিষিদ্ধ থাকলেও একটি মহল সেই নিষিদ্ধ সীমানার মধ্যেই বালু তুলছেন। বিষয়টি জেলা প্রশাসনের নির্দেশে ২২ জানুয়ারি পবা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবুল হায়াত ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সুমন চৌধুরী পদ্মা তীরবর্তী বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক সংলগ্ন পশ্চিমের হরিপুর ও নবগঙ্গা এই দুই মৌজায় বালুমহালে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে কাউকে উপস্থিত না পেয়ে লাল পতাকা দিয়ে সিমানা নির্ধারন করে দেয়। এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবুল হায়াত বেেলন চুক্তি অনুযায়ী নদীর তীর থেকে দেড় থেকে দুই কিলোমিটার দূরে গিয়ে বালু উত্তোলনের শর্তে বালুমহাল ইজারা দেওয়া হয়েছে। অথচ নদী তীরের এক কিলোমিটারের ভেতর থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন তাই লাল পতাকা দিয়ে সিমানা নির্ধারন করে দিলাম। এরপরও ভ্রাম্যমান আদালত অব্যাহত থাকবে। উল্লেখ্য, গত ১৪ জানুয়ারি পবা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবুল হায়াত সোনাইকান্দি-বেড়পাড়া এলাকায় আনোয়ার হোসেন ও রজব আলীর বালুমহালে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করেন। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ইজারাদারদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে ঐ এলাকা থেকে বালু উত্তোলন বন্ধের নির্দেশনা দেয় আদালত।