ঢাকা ০৩:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ জুন ২০২৪, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সাব-রেজিস্ট্রারের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তিসহ বিভিন্ন ব্যাংকে রাখা প্রায় সাড়ে ১১ কোটি টাকা জব্দ বাকেরগঞ্জে বিটিভির বহিরাঙ্গন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত। ৬ দফা ঘোষণাই ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রথম ভিত্তির সোপান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাকেরগঞ্জের থানা পুলিশেকে ম্যানেজ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চড় কবাইতে চলছে নগ্ন নৃত্য ও জুয়ার আসর।। টাঙ্গ‌াইলের গোপালপুরে ভেঙে পড়ল সেতু, যোগা‌যোগ বি‌চ্ছিন্ন নরসিংদীতে অবৈধ অস্ত্র ও গুলিসহ হামিম হোসেন ফাহিম গ্রেপ্তার কুষ্টিয়া-ভেড়ামারায় গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডাবের দাম বেড়েই চলেছে গজারিয়া থানা থেকে সহকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত মনে বিদায় নিলেন এসআই আবুল কালাম আজাদ “ফেভিকল চ্যাম্পিয়নস ক্লাবের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী” আমার প্রধান লক্ষ্য প্রাইমারি হেলথ কেয়ারের উন্নয়ন ঃ স্বাস্থ্য মন্ত্রী

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন জালকুড়ি এলাকায় মায়ের বাড়ী গিয়ে গৃহবধূ আত্মহত্যা

শেখ নিয়াজ মোহাম্মদ ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে জালকুড়ি এলাকায় কাপড় পাল্টানোর কথা বলে ঘরের দরজা বন্ধ করে মাইসা নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে।
গত ২ জানুয়ারী শুক্রবার রাতে মোসাঃ মাইসা (২০) নামের এক বিবাহিত মেয়ে তার বাবার বাড়ীতে এসে গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাস দিয়ে আত্নহত্যা করে বলে জানা যায়। মেয়ের মা কহিনুর জলকুড়ি কড়ইতলা সংলগ্ন এলাকায় বসবাস করে। নিহত মাইসা মৃত মোঃ বাবু ও প্রবাসী কহিনুর আক্তার বেবীর মেয়ে। মেয়ের স্বামী নাম মোঃ সাগর মিয়া (২৭) মোঃ খবির উদ্দিনের ছেলে।
পরিবারের সদ্যরা জানায়, মেয়েটি বিবাহিত দুই বছরে তার মায়ের বাড়ী তেমন বেড়াতে আসতো না। তবে ঐ দিন শুক্রবার সন্ধ্যায় মায়ের বাড়ী এসে তার কাপড়ে পাল্টানোর কথা বলে ঘরের দরজা বন্ধ করে অনেক সময় অতিক্রম করলে ঘরের লোকজন জানলা দিয়ে দেখতে পায় সে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁসিতে ঝুলছে। এরপর তারা আত্নীয়স্বজন সংঙ্গে সংঙ্গে ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্দার করে এবং ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়।
ছেলের বাবা মোঃ খবির উদ্দিন বলেন, গত দুই বছর আগে প্রেম করে বিয়ে হয় সাগর ও মাইসার। এরপর সুখে তারা সুখে শান্তিতে বসবাস করে আসছিলো। মেয়ার মা বিদেশ থেকে এসে মেয়ে তার স্বামীর থেকে আলাদা করার চাপ দেয়। ঘটনার দিন মাইসা প্রথমে তার নানীর বাসায় যায় এবং পরে জালকুড়ি কড়াইতলা এলাকায় মা কহিনূরের বাসায় গিয়ে নাকি আত্ম হত্যা করে। মেয়ের মারা যাওয়ার খবর তারা আমাদেরকে দেয় পরের দিন দুপুরে। বিষয়টি নিয়ে আমরা মমার্হত হয়ে যাই। এবং আমার পরিবার ও ছেলে মানুষিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে। এখন এই ঘটনা নিয়ে মেয়ের মা আমাদেরকে পুলিশের ভয় দেখিয়ে হয়রানী করছে। আমরা পুলিশের কাছে সঠিক বিচার চাই।
এদিকে নিহত মাইসরা খালা ইতি জানায়, ঘটনার দিন রার সাড়ে ৮ টার দিকে আমার বোনের জালকুড়ি এলাকার বাসায় আসে এবং কিছুক্ষন পর কাপড় পাল্টানোর কথা বলে রুমে ঢোকে। অনেকক্ষন ঞয়ে গেলেও সে ঘর থেকে বের না হওয়ায় জানালা দিয়ে দেখা যায় সে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে। পরে ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়। তবে তারা স্বামীর নির্যাতনের কারনে মেয়ে বাসায় এসে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবী করেছে।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ—পরিদর্শক (এস আই) হুমায়ুন—৩ জানান, আত্মহত্যার সঠিক কারন এখনো জানা যায়নি। ময়না তদন্ত রিপোর্ট হতে পেলে আমরা বুঝতে পারব এই আত্নহত্যার কারন জানা যাবে।

Tag :

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাব-রেজিস্ট্রারের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তিসহ বিভিন্ন ব্যাংকে রাখা প্রায় সাড়ে ১১ কোটি টাকা জব্দ

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন জালকুড়ি এলাকায় মায়ের বাড়ী গিয়ে গৃহবধূ আত্মহত্যা

আপডেট টাইম ০৭:৪৯:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

শেখ নিয়াজ মোহাম্মদ ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে জালকুড়ি এলাকায় কাপড় পাল্টানোর কথা বলে ঘরের দরজা বন্ধ করে মাইসা নামের এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে।
গত ২ জানুয়ারী শুক্রবার রাতে মোসাঃ মাইসা (২০) নামের এক বিবাহিত মেয়ে তার বাবার বাড়ীতে এসে গলায় ওড়না পেচিয়ে ফাস দিয়ে আত্নহত্যা করে বলে জানা যায়। মেয়ের মা কহিনুর জলকুড়ি কড়ইতলা সংলগ্ন এলাকায় বসবাস করে। নিহত মাইসা মৃত মোঃ বাবু ও প্রবাসী কহিনুর আক্তার বেবীর মেয়ে। মেয়ের স্বামী নাম মোঃ সাগর মিয়া (২৭) মোঃ খবির উদ্দিনের ছেলে।
পরিবারের সদ্যরা জানায়, মেয়েটি বিবাহিত দুই বছরে তার মায়ের বাড়ী তেমন বেড়াতে আসতো না। তবে ঐ দিন শুক্রবার সন্ধ্যায় মায়ের বাড়ী এসে তার কাপড়ে পাল্টানোর কথা বলে ঘরের দরজা বন্ধ করে অনেক সময় অতিক্রম করলে ঘরের লোকজন জানলা দিয়ে দেখতে পায় সে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁসিতে ঝুলছে। এরপর তারা আত্নীয়স্বজন সংঙ্গে সংঙ্গে ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্দার করে এবং ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়।
ছেলের বাবা মোঃ খবির উদ্দিন বলেন, গত দুই বছর আগে প্রেম করে বিয়ে হয় সাগর ও মাইসার। এরপর সুখে তারা সুখে শান্তিতে বসবাস করে আসছিলো। মেয়ার মা বিদেশ থেকে এসে মেয়ে তার স্বামীর থেকে আলাদা করার চাপ দেয়। ঘটনার দিন মাইসা প্রথমে তার নানীর বাসায় যায় এবং পরে জালকুড়ি কড়াইতলা এলাকায় মা কহিনূরের বাসায় গিয়ে নাকি আত্ম হত্যা করে। মেয়ের মারা যাওয়ার খবর তারা আমাদেরকে দেয় পরের দিন দুপুরে। বিষয়টি নিয়ে আমরা মমার্হত হয়ে যাই। এবং আমার পরিবার ও ছেলে মানুষিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে। এখন এই ঘটনা নিয়ে মেয়ের মা আমাদেরকে পুলিশের ভয় দেখিয়ে হয়রানী করছে। আমরা পুলিশের কাছে সঠিক বিচার চাই।
এদিকে নিহত মাইসরা খালা ইতি জানায়, ঘটনার দিন রার সাড়ে ৮ টার দিকে আমার বোনের জালকুড়ি এলাকার বাসায় আসে এবং কিছুক্ষন পর কাপড় পাল্টানোর কথা বলে রুমে ঢোকে। অনেকক্ষন ঞয়ে গেলেও সে ঘর থেকে বের না হওয়ায় জানালা দিয়ে দেখা যায় সে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলে আছে। পরে ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়। তবে তারা স্বামীর নির্যাতনের কারনে মেয়ে বাসায় এসে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবী করেছে।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ—পরিদর্শক (এস আই) হুমায়ুন—৩ জানান, আত্মহত্যার সঠিক কারন এখনো জানা যায়নি। ময়না তদন্ত রিপোর্ট হতে পেলে আমরা বুঝতে পারব এই আত্নহত্যার কারন জানা যাবে।