ঢাকা ১১:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০১ জুন ২০২৪, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
হবিগঞ্জ বৃষ্টিতে চা বাগানে ফিরেছে স্বস্তি বাড়বে উৎপাদন সাংবাদিক ইউনিয়ন কুষ্টিয়ার সাধারণ সভা নিয়ামতপুরে বিদ্যুতের খুঁটির পাশে বাঁশের ঝাড় কাটতে বলায় হুমকি দেওয়ার অভিযোগ কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচিত হলেন যারা গুইমারায় প্রভাবশালীদের দাপটে বাজার ব্যবস্থাপনা নাজেহাল! গজারিয়ায় কিন্ডারগার্টেন এডুকেশন এসোসিয়েশন এর উদ্যোগে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত হবে বাংলাদেশ : স্বাস্থ্যমন্ত্রী ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনকে সফল করতে জনগণের স্বতস্ফুর্ত অংশগ্রহণ প্রয়োজন : স্বাস্থ্যমন্ত্রী “সাংবাদিকতায় ‘ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ অ্যাওয়ার্ড’ পেলেন ফারজানা শোভা “ সিআাই খোলা মোড় ডিএনডি লেক থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ

এবার হালদা রেণুর মূল্য দিগুণ, ভেজাল রেণু বিক্রয়ে প্রশাসনের সতর্কতা

রাহাত মামুন
চট্টগ্রাম সংবাদদাতা

হালদা নদীতে সংগৃহীত ডিম থেকে উৎপাদিত রেণু গতকাল রোববার থেকে বিক্রি শুরু হয়েছে। এবার প্রতি কেজি রেণু বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকায়। এ বছর নদী থেকে কম ডিম সংগৃহীত হওয়ায় রেণুর দাম দ্বিগুণ।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে নদীতে লবণাক্ত পানি ঢোকায় মা মাছ ডিম কম ছেড়েছে। এছাড়া হ্যাচারির অব্যবস্থাপনার কারণেও ডিম নষ্ট হয়ে গেছে। ডিম কম পাওয়ার পাশাপাশি ডিম নষ্ট হওয়ার কারণে এবার রেণুর দাম বেশি। গত বছর প্রতি কেজি রেণু বিক্রি হয়েছিল ৬০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকায়। সেই রেণু এবার বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ৪০ টাকায়।

হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ রুহুল আমীন বলেন, রোববার থেকে রেণু বিক্রি শুরু হয়েছে। ডিম কম পাওয়ায় রেণুর দাম বেশি।

মৎস্যজীবীদের হিসাব অনুসারে, কেজিতে প্রায় দুই লাখ রেণু পাওয়া যায়। হালদার রেণু উৎপাদনকারীরা জানান, রাউজান-হাটহাজারীর মৎস্য বিভাগের চারটি হ্যাচারির মধ্যে তিনটিতে ডিম ফুটিয়ে তারা সফলতা পেলেও অপর একটিতে (শাহ মাদারী হ্যাচারি) যারা ডিম নিয়েছেন তাদের কপাল পুড়েছে। সেখানে লোনা পানির কারণে প্রায় ডিম নষ্ট হয়ে গেছে। এই হ্যাচারিতে মিঠা পানির যোগান না থাকায় ব্যবহার করা হয়েছিল নদীর লবনাক্ত পানি। এছাড়া মাটির কুয়ায় যারা ডিম ফোটানোর ব্যবস্থা করেছিল তাদের কুয়ায়ও লোনা পানি ঢুকে পড়ায় একই অবস্থা হয়েছে।

গতকাল থেকে পূর্ণমাত্রায় রেণু বিক্রি শুরু করেছেন মৎস্যজীবীরা। এই সুযোগে ক্রেতাদের সাথে অসৎ রেণু বিক্রেতারা যাতে প্রতারণা করতে না পারে সেজন্য তারা ক্রেতাদের সতর্ক করেছেন। তাদের আশঙ্কা, হালদা পাড়ের কতিপয় অসৎ ব্যবসায়ী বাইরের রেণু এনে হালদার রেণু হিসাবে বিক্রির চেষ্টা করতে পারে।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

হবিগঞ্জ বৃষ্টিতে চা বাগানে ফিরেছে স্বস্তি বাড়বে উৎপাদন

এবার হালদা রেণুর মূল্য দিগুণ, ভেজাল রেণু বিক্রয়ে প্রশাসনের সতর্কতা

আপডেট টাইম ০১:৫৫:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ মে ২০২১

রাহাত মামুন
চট্টগ্রাম সংবাদদাতা

হালদা নদীতে সংগৃহীত ডিম থেকে উৎপাদিত রেণু গতকাল রোববার থেকে বিক্রি শুরু হয়েছে। এবার প্রতি কেজি রেণু বিক্রি হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকায়। এ বছর নদী থেকে কম ডিম সংগৃহীত হওয়ায় রেণুর দাম দ্বিগুণ।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে নদীতে লবণাক্ত পানি ঢোকায় মা মাছ ডিম কম ছেড়েছে। এছাড়া হ্যাচারির অব্যবস্থাপনার কারণেও ডিম নষ্ট হয়ে গেছে। ডিম কম পাওয়ার পাশাপাশি ডিম নষ্ট হওয়ার কারণে এবার রেণুর দাম বেশি। গত বছর প্রতি কেজি রেণু বিক্রি হয়েছিল ৬০ হাজার থেকে ৭০ হাজার টাকায়। সেই রেণু এবার বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ৪০ টাকায়।

হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ রুহুল আমীন বলেন, রোববার থেকে রেণু বিক্রি শুরু হয়েছে। ডিম কম পাওয়ায় রেণুর দাম বেশি।

মৎস্যজীবীদের হিসাব অনুসারে, কেজিতে প্রায় দুই লাখ রেণু পাওয়া যায়। হালদার রেণু উৎপাদনকারীরা জানান, রাউজান-হাটহাজারীর মৎস্য বিভাগের চারটি হ্যাচারির মধ্যে তিনটিতে ডিম ফুটিয়ে তারা সফলতা পেলেও অপর একটিতে (শাহ মাদারী হ্যাচারি) যারা ডিম নিয়েছেন তাদের কপাল পুড়েছে। সেখানে লোনা পানির কারণে প্রায় ডিম নষ্ট হয়ে গেছে। এই হ্যাচারিতে মিঠা পানির যোগান না থাকায় ব্যবহার করা হয়েছিল নদীর লবনাক্ত পানি। এছাড়া মাটির কুয়ায় যারা ডিম ফোটানোর ব্যবস্থা করেছিল তাদের কুয়ায়ও লোনা পানি ঢুকে পড়ায় একই অবস্থা হয়েছে।

গতকাল থেকে পূর্ণমাত্রায় রেণু বিক্রি শুরু করেছেন মৎস্যজীবীরা। এই সুযোগে ক্রেতাদের সাথে অসৎ রেণু বিক্রেতারা যাতে প্রতারণা করতে না পারে সেজন্য তারা ক্রেতাদের সতর্ক করেছেন। তাদের আশঙ্কা, হালদা পাড়ের কতিপয় অসৎ ব্যবসায়ী বাইরের রেণু এনে হালদার রেণু হিসাবে বিক্রির চেষ্টা করতে পারে।