মোহাম্মদ মনির হোসাইন,কুমিল্লা উত্তর জেলা প্রতিনিধি: মুরাদনগর থানার জনসাধারণের কাছে এখন অত্যন্ত প্রিয় পুলিশ কর্মকর্তা থানার ওসি একেএম মনজুর আলম। গত প্রায় দুই বছর ধরে জনসাধারণকে আইনি সেবা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, চোর ডাকাত সহ বিভিন্ন অপরাধ দমন করে তিনি ওই থানা এলাকার মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য এবং প্রিয় ওসি হিসেবে স্থান করে নিয়েছেন। এদিকে প্রাণঘাতী করুণা ভাইরাস পরিস্থিতিতে ওসি একেএম মনজুর আলম দিন রাত জনসেবা করে মানুষের প্রশংসা অর্জন করে যাচ্ছেন। জানা যায়, দেশব্যাপী করোনা ভাইরাস এর প্রভাব বিস্তারের ফলে সারা দেশের ন্যায় মুরাদনগরেও জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এরই মাঝে মুরাদনগরের জনপ্রিয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন এফসিএ এর সার্বিক নির্দেশনা নিয়ে জনসেবায় মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়ে আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠন সহ উপজেলা এবং থানার প্রশাসন। তবে অন্য রকম সেবা প্রদান করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ জনসাধারণের কাছে প্রিয় মুখ হিসেবে জায়গা করে নিয়েছেন থানার ওসি একেএম মনজুর আলম। করুণা ভাইরাস সংক্রমণ এর প্রভাব শুরু হওয়ার পর থেকে চৌকস পুলিশ কর্মকর্তা জনসেবায় মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়েন। শুরুতে জনসাধারণকে লিফলেট বিতরণ এবং মাইকিং করে সচেতন সহ প্রবাসীদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় নিয়ে আসেন।

প্রায় দুই শতাধিক এর ও বেশি মানুষকে হোম কোয়ারেন্টাইন রেখে তিনি তাদেরকে নিয়মিত মনিটরিং করেন। এরপর নিজস্ব অর্থায়নে জনসাধারণের মাঝে মাস্ক হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ করে থানা এলাকার সকল রাস্তাঘাটে জীবাণুনাশক স্প্রে ছিটিয়ে দেন। এছাড়া ওসি মনজুর আলম নিজস্ব অর্থায়নে হতদরিদ্র এবং নিম্নআয়ের মানুষের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন। রাতের অন্ধকারে দরিদ্রদের কাছে ত্রাণ নিয়ে হাজির হয়েও তিনি প্রশংসা অর্জন করেন।

ইতিপূর্বে মুরাদনগর থানা এলাকায় সন্ত্রাস চাঁদাবাজি চুরি-ডাকাতি সহ সকল প্রকার অপরাধ দমন করে তিনি সকল শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে প্রিয় ওসি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। এর আগে ওসি মনজুর আলম কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি হিসাবে টানা চার বছর কর্মরত ছিলেন। সেখানে গোটা জেলার অপরাধ দমন করে তিনি ১৭ বার জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি হিসেবে পুরস্কার লাভ করেন । বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের অধিকারী এ কে এম মনজুর আলম মুরাদনগরে রাজনৈতিক-সামাজিক, ব্যবসায়িসহ সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের কাছে এখন প্রিয় মুখ।