ঢাকা ০২:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ জুন ২০২৪, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
টাঙ্গ‌াইলের গোপালপুরে ভেঙে পড়ল সেতু, যোগা‌যোগ বি‌চ্ছিন্ন নরসিংদীতে অবৈধ অস্ত্র ও গুলিসহ হামিম হোসেন ফাহিম গ্রেপ্তার কুষ্টিয়া-ভেড়ামারায় গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডাবের দাম বেড়েই চলেছে গজারিয়া থানা থেকে সহকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত মনে বিদায় নিলেন এসআই আবুল কালাম আজাদ “ফেভিকল চ্যাম্পিয়নস ক্লাবের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচী” আমার প্রধান লক্ষ্য প্রাইমারি হেলথ কেয়ারের উন্নয়ন ঃ স্বাস্থ্য মন্ত্রী “বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের গুরুত্বশীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত” আদ্-দ্বীন উইমেন্স মেডিকেল কলেজে নবীনবরণ অনুষ্ঠিত –অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনকালে রাজধানীর কোতয়ালী এলাকা হতে চাঁদাবাজ চক্রের অন্যতম মূলহোতা রিপনসহ মোট ০৭ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। নরসিংদীর পুলিশব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবি আইয়ের বিশেষ অভিযানে ৩ মানব পাচারকারী গ্রেফতার

কুষ্টিয়ায় টানা ৬ দিন নতুন করোনা আক্রান্ত নেই : বাড়ি ফিরছেন ২ জন

মোহাম্মদ রফিক কুষ্টিয়া:
টানা ৬ দিন অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরও কুষ্টিয়ায় নতুন কোন করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। গতকাল ২৪টি নমুন পরীক্ষার ফলাফলও ছিল নেগেটিভ। জেলা চিকিৎসা দফতর বলছে এটা ইতিবাচক।
আক্রান্ত ১৬ জনেই কুষ্টিয়া জেলা আপাতত স্থির রয়েছে। এর বাইরে ঢাকা থেকে আসা আরো ২ জন রোগী কুষ্টিয়ার একটি আইসোলেশনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। যেখানে আরো ৫ রোগী রয়েছে। এদের মধ্যে ৩ জন ঢাকা থেকে আসা। বাকীরা নিজেদের বাড়িতেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ইতোমধ্যে জেলায় আক্রান্তদের মধ্যে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে থাকা দুই রোগী চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেছেন। ১ মে তাদেরকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। তারা সেখানে ১০ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। এরা ঐ ১৬ জনের মধ্যে। ওদিকে জেলার খোকসা উপজেলার একই পরিবারের ৫জনের অবস্থা এখনও অপরিবর্তিত বলে জানিয়েছেন খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কামররুজ্জামান সোহেল। তিনি জানান পরিবারটি পুরোপুরি নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছে। তাদের টেস্টের ফলাফল ১ মে আসতে পারে। জেলা চিকিৎসা দফতরের মতে, কুষ্টিয়া করোনা রোগের প্রার্দুভাব ও বিস্তারের ক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারেনি। বিশেষজ্ঞগণ এর কারন বলছেন ভে ভৌগলিক। এখানে শিল্প কারখানা, নদী-বন্দর বা বাইরের মানুষের আনাগোনা কম ছিল। এখানে শুরু থেকেই সিভিল প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন তৎপর ছিল। বিচ্ছিন্ন মানুষের তৎপরতা চোখে পড়লেও সংঘবদ্ধ মানুষের ঢল ছিল না।
“নানা কারনে কুষ্টিয়াতে সংক্রমণ হয়নি। প্রশাসনের তৎপরতা ও মানুষের সচেতনতা এখানে কাজ করেছে। তাছাড়া, শেষ দিকে হবার কারনে এখানে পরিস্থিতি ওতটা কঠোর হতে দেখা যায়নি,” বললেন ডাক্তার তাপস কুমার সরকার, আবাসিক মেডিকেল অফিসার কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল।
ডাক্তার তাপস কুমার সরকার জানান, তবে তারপরও পরিস্থিতি কখন কোন দিকে মোড় নেয় তা বলা যায়না।দোকান পাট খুলে দেয়া প্রসঙ্গে এই চিকিৎসক জানান অনেক কিছুই খুলে দেয়া যেতে পারে তবে মানুষ সচেতনভাবে যদি সেটির সঠিক ব্যবহার করে তবেই সেখানে অঘটনের সম্ভাবনা কম থাকবে। কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন জানান এই রোগের ভয়াবহতা বিস্তার রোধে কুষ্টিয়া প্রশাসন প্রথম থেকেই তৎপর ছিল। নানা পদক্ষেপের মাধ্যমে এক সিংহভাগ মানুষকে নিয়মের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছিল। তিনি সবাইকে নিয়ম, অনুশাসন মেনে চলার পরামর্শ দেন। প্রশাসনের সকল নজরদারী অব্যাহত থাকবে বলে জেলা প্রশাসক জানান।
Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

টাঙ্গ‌াইলের গোপালপুরে ভেঙে পড়ল সেতু, যোগা‌যোগ বি‌চ্ছিন্ন

কুষ্টিয়ায় টানা ৬ দিন নতুন করোনা আক্রান্ত নেই : বাড়ি ফিরছেন ২ জন

আপডেট টাইম ১০:১৯:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মে ২০২০
মোহাম্মদ রফিক কুষ্টিয়া:
টানা ৬ দিন অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পরও কুষ্টিয়ায় নতুন কোন করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি। গতকাল ২৪টি নমুন পরীক্ষার ফলাফলও ছিল নেগেটিভ। জেলা চিকিৎসা দফতর বলছে এটা ইতিবাচক।
আক্রান্ত ১৬ জনেই কুষ্টিয়া জেলা আপাতত স্থির রয়েছে। এর বাইরে ঢাকা থেকে আসা আরো ২ জন রোগী কুষ্টিয়ার একটি আইসোলেশনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। যেখানে আরো ৫ রোগী রয়েছে। এদের মধ্যে ৩ জন ঢাকা থেকে আসা। বাকীরা নিজেদের বাড়িতেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ইতোমধ্যে জেলায় আক্রান্তদের মধ্যে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে থাকা দুই রোগী চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে গেছেন। ১ মে তাদেরকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। তারা সেখানে ১০ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। এরা ঐ ১৬ জনের মধ্যে। ওদিকে জেলার খোকসা উপজেলার একই পরিবারের ৫জনের অবস্থা এখনও অপরিবর্তিত বলে জানিয়েছেন খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কামররুজ্জামান সোহেল। তিনি জানান পরিবারটি পুরোপুরি নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছে। তাদের টেস্টের ফলাফল ১ মে আসতে পারে। জেলা চিকিৎসা দফতরের মতে, কুষ্টিয়া করোনা রোগের প্রার্দুভাব ও বিস্তারের ক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারেনি। বিশেষজ্ঞগণ এর কারন বলছেন ভে ভৌগলিক। এখানে শিল্প কারখানা, নদী-বন্দর বা বাইরের মানুষের আনাগোনা কম ছিল। এখানে শুরু থেকেই সিভিল প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন তৎপর ছিল। বিচ্ছিন্ন মানুষের তৎপরতা চোখে পড়লেও সংঘবদ্ধ মানুষের ঢল ছিল না।
“নানা কারনে কুষ্টিয়াতে সংক্রমণ হয়নি। প্রশাসনের তৎপরতা ও মানুষের সচেতনতা এখানে কাজ করেছে। তাছাড়া, শেষ দিকে হবার কারনে এখানে পরিস্থিতি ওতটা কঠোর হতে দেখা যায়নি,” বললেন ডাক্তার তাপস কুমার সরকার, আবাসিক মেডিকেল অফিসার কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল।
ডাক্তার তাপস কুমার সরকার জানান, তবে তারপরও পরিস্থিতি কখন কোন দিকে মোড় নেয় তা বলা যায়না।দোকান পাট খুলে দেয়া প্রসঙ্গে এই চিকিৎসক জানান অনেক কিছুই খুলে দেয়া যেতে পারে তবে মানুষ সচেতনভাবে যদি সেটির সঠিক ব্যবহার করে তবেই সেখানে অঘটনের সম্ভাবনা কম থাকবে। কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক আসলাম হোসেন জানান এই রোগের ভয়াবহতা বিস্তার রোধে কুষ্টিয়া প্রশাসন প্রথম থেকেই তৎপর ছিল। নানা পদক্ষেপের মাধ্যমে এক সিংহভাগ মানুষকে নিয়মের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছিল। তিনি সবাইকে নিয়ম, অনুশাসন মেনে চলার পরামর্শ দেন। প্রশাসনের সকল নজরদারী অব্যাহত থাকবে বলে জেলা প্রশাসক জানান।