ঢাকা ১০:৪১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কুমিল্লা,মুরাদনগরে-৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে জবাই করে হত্যা। ভবেরচর ইউনিয়নের ৩নংওর্য়াডে আনারস মার্কার উঠান বৈঠক ও মিছিল অনুষ্ঠিত : নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ সাইনবোর্ড বাসস্ট্যান্ড তীব্রতাপ প্রভায়ে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ –রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম এলাকা হতে ৪০৬ ক্যান বিয়ারসহ ০১ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে লালমনিরহাটে বহিষ্কৃত জাপা নেতাকর্মীর বিএনপিতে যোগদান টাঙ্গাইলে সদর সার্কেলের কার্যালয় পরিদর্শন করেন পুলিশ সুপার বগুড়ায় গ্রাহকের ২ কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা এনজিও সংস্থা সিডো –ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকা হতে দেশীয় অস্ত্র ও বিদেশী মদসহ ০২ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। –অবৈধভাবে চাঁদা উত্তোলনকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা হতে চাঁদাবাজ চক্রের মূলহোতা ফজলে রাব্বিসহ ১৫ জন পরিবহন চাঁদাবাজকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১০। বগুড়ায় প্রচন্ড তাপদাহে শ্রমজীবী ও পথচারীদের ক্ষুধা-তৃষ্ণা নিবারণে আওয়ামীলীগ নেতা দুলু

শোকাবহ জেল হত্যা দিবস আজ

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  যথাযোগ্য মর্যাদায় আজ রোববার জাতি পালন করবে জেলহত্যা দিবস। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর চার জাতীয় নেতা- সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামানকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

আরো পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় এ চার নেতা মুজিবনগর সরকার গঠনে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেয়া এ প্রবাসী সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। সেই সাথে তাজউদ্দীন আহমদ প্রধানমন্ত্রী, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী অর্থমন্ত্রী এবং এএইচএম কামরুজ্জামান স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসনমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

দিবসটি পালনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

এর মধ্যে আছে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা, কালো ব্যাজ ধারণ এবং বনানী কবরস্থানে চার নেতার কবরে ফাতেহা পাঠ।

এদিকে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, ‘স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করার পাশাপাশি জাতিকে নেতৃত্বহীন করার লক্ষ্যে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর স্বাধীনতাবিরোধী চক্র কারাবন্দী অবস্থায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ঘাতকচক্রের উদ্দেশ্য ছিল দেশে অগণতান্ত্রিক স্বৈরশাসনের উত্থানের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের চেতনা থেকে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে মুছে ফেলা। কিন্তু ঘাতকচক্রের সেই উদ্দেশ্য সফল হয়নি।’

‘যত দিন বাংলাদেশ থাকবে তত দিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার আদর্শ চির অম্লান থাকবে। বঙ্গবন্ধু সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তার অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়নে সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখবেন, এটাই হোক জেলহত্যা দিবসে আমাদের অঙ্গীকার,’ যোগ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ড ছিল জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতা। এ ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি, দেশবিরোধী চক্র বাংলার মাটি থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নাম চিরতরে মুছে ফেলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস এবং বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল।

Tag :

জনপ্রিয় সংবাদ

কুমিল্লা,মুরাদনগরে-৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে জবাই করে হত্যা।

শোকাবহ জেল হত্যা দিবস আজ

আপডেট টাইম ০৭:৫৮:৫৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০১৯

মাতৃভূমির খবর ডেস্কঃ  যথাযোগ্য মর্যাদায় আজ রোববার জাতি পালন করবে জেলহত্যা দিবস। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর চার জাতীয় নেতা- সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী ও এএইচএম কামরুজ্জামানকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

আরো পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা

১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় এ চার নেতা মুজিবনগর সরকার গঠনে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দেয়া এ প্রবাসী সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। সেই সাথে তাজউদ্দীন আহমদ প্রধানমন্ত্রী, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী অর্থমন্ত্রী এবং এএইচএম কামরুজ্জামান স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসনমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

দিবসটি পালনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠন এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দল নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

এর মধ্যে আছে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা, কালো ব্যাজ ধারণ এবং বনানী কবরস্থানে চার নেতার কবরে ফাতেহা পাঠ।

এদিকে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, ‘স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে বিপন্ন করার পাশাপাশি জাতিকে নেতৃত্বহীন করার লক্ষ্যে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতায় ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর স্বাধীনতাবিরোধী চক্র কারাবন্দী অবস্থায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। ঘাতকচক্রের উদ্দেশ্য ছিল দেশে অগণতান্ত্রিক স্বৈরশাসনের উত্থানের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের চেতনা থেকে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে মুছে ফেলা। কিন্তু ঘাতকচক্রের সেই উদ্দেশ্য সফল হয়নি।’

‘যত দিন বাংলাদেশ থাকবে তত দিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার আদর্শ চির অম্লান থাকবে। বঙ্গবন্ধু সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তার অসমাপ্ত কাজ বাস্তবায়নে সবাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখবেন, এটাই হোক জেলহত্যা দিবসে আমাদের অঙ্গীকার,’ যোগ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী তার বাণীতে বলেন, কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে জাতীয় চার নেতার হত্যাকাণ্ড ছিল জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার ধারাবাহিকতা। এ ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি, দেশবিরোধী চক্র বাংলার মাটি থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নাম চিরতরে মুছে ফেলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস এবং বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল।