আজ

  • রবিবার
  • ২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ছাগলনাইয়ায় স্ত্রীকে বিবস্ত্র করে, চুল কেটে প্রশ্রাব খাইয়ে ও পিটিয়ে নির্যাতন

  • বিশেষ প্রতিবেদক
  • টানা চারদিন ঘরের মধ্যে স্ত্রীকে শেকল দিয়ে তালা লাগিয়ে বেঁধে বিবস্ত্র করে মাথার চুল কেটে জোর পূর্বক প্রশ্রাব খাইয়ে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় অমানুসিক নির্যাতন চালিয়েছে পাষন্ড স্বামী মঞ্জুরুল আলম বাদল হাজারী। ঘটনাটি ঘটেছে ছাগলনাইয়া উপজেলার পাঠাননগর ইউনিয়নের উত্তর হরিপুর গ্রামের হাজারী বাড়িতে।
    খবর পেয়ে ছাগলনাইয়া থানার পুলিশ রবিবার বিকালে উত্তর হরিপুর গ্রামের হাজারী বাড়ি থেকে নির্যাতিত গৃহবধূ তাহেরা আক্তার রিনাকে (২৪) উদ্ধার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পাষন্ড স্বামী মঞ্জুরুল আলম বাদল হাজারী পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে ছাগলনাইয়া থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

    পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, ফেনী সদর থানার কাতালিয়া গ্রামের কবি আবদুল মালেকের বাড়ির মৃত আমিনুল এহসান বাবুলের মেয়ে তাহেরা আক্তার রিনার ২০১৭ সালের ২২ মার্চ বিয়ে হয় ছাগলনাইয়া উপজেলার পাঠাননগর ইউনিয়নের উত্তর হরিপুর গ্রামের হাজারী বাড়ির মৃত নজির আহাম্মদ হাজারীর পুত্র বিয়ে পাগল মঞ্জুরুল আলম বাদল হাজারীর সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই শুরু হয় তাহেরা আক্তার রিনার উপর তার স্বামী মঞ্জুরুল আলম বাদল হাজারীর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন।
    স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে একপর্যায় প্রাণ বাঁচাতে তাহেরা আক্তার রিনা স্বামীর বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। দীর্ঘ ৯মাস পালিয়ে থাকার পর ৫ জুলাই বৃহস্পতিবার স্বামী মঞ্জুরুল আলম বাদল হাজারী রিনাকে তার নানার বাড়ি থেকে উত্তর হরিপুর গ্রামের হাজারী বাড়িতে এনে টানা চারদিন ঘরের মধ্যে শেকল দিয়ে তালা লাগিয়ে বেঁধে বিবস্ত্র করে মাথার চুল কেটে জোর পূর্বক প্রশ্রাব খাইয়ে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় অমানুসিক নির্যাতন চালায়।

    গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে ছাগলনাইয়া থানার এস.আই মো. নাঈম উদ্দিন ও এস.আই মো. শহিদ এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে রবিবার বিকালে উত্তর হরিপুর গ্রামের হাজারী বাড়ি থেকে শেকল দিয়ে বাঁধা অবস্থা থেকে নির্যাতিত গৃহবধূ তাহেরা আক্তার রিনাকে (২৪) উদ্ধার করে এনে ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করে।

    এলাকাবাসী জানায়, রিনাকে বিয়ে করার পূর্বে বাদল হাজারী আরো ২টি বিয়ে করেছে। ওই দুই স্ত্রীর দুটি সন্তান রয়েছে। বাদল হাজারীর অমানুসিক নির্যাতন সইতে না পেরে তারা সংসার ছেড়ে চলে যায়।

    ছাগলনাইয়া থানার ওসি (তদন্ত) সুদীপ রায় ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

    সম্পাদনা : এএএম/এসকে


    error: Content is protected !! please contact me 01718066090