ঢাকা ০৬:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ জুন ২০২৪, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জামিন জালিয়াতি: সিআইডির তদন্তে চারজনের নাম, গ্রেফতারের নির্দেশ

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৪১:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুন ২০২১
  • ১৬৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বগুড়ায় মোটর মালিক গ্রুপে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের মামলায় ভুয়া আগাম জামিন আদেশ তৈরির ঘটনায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) তদন্তে ৪ জনের নাম উঠে এসেছে।

এরা হলেন, ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী রাজু আহমেদ রাজীব, বগুড়া আদালতের আইনজীবী তানজীম আল মিসবাহ, ঢাকা জজ কোর্টের কম্পিউটার অপারেটর মাসুদ রানা ও ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী সহকারী মো. সোহাগ। কারাগারে থাকা সোহাগ ইতোমধ্যেই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। হাইকোর্টে সিআইডির দাখিল করা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

বুধবার বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। প্রতিবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদালত দুই আইনজীবী ও কম্পিউটার অপারেটর মাসুদ রানাকে দুই সপ্তাহের মধ্যে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে আগামী ২৩ জুন হাইকোর্টে হাজির হতে বলা হয়েছে।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারান্নুম মিতি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে আসামিদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের জাল আদেশ দাখিল করে বগুড়ার আদালত থেকে জামিন নেওয়ার অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় হাইকোর্ট গত ২৪ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে যুবলীগের সহ-সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত সভাপতি) ও কাউন্সিলর আমিনুল ইসলামসহ ৩০ আসামিকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। এই আদেশ বাস্তবায়ন করে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বগুড়া সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে বিষয়টি তদন্ত করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি বগুড়াতে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি তিনটি মামলা হয়। এরমধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহনের ছোটভাই মশিউল আলম বাদী হয়ে ১০ ফেব্রুয়ারি বগুড়া থানায় মামলা করেন। মামলায় যুবলীগের সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলামসহ ৩৩ জনের নাম উলে­খ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় হাইকোর্ট থেকে আমিনুল ইসলামসহ ৩০ জনের জামিন নেওয়ার একটি আদেশনামা (জামিন আদেশ) তৈরি করা হয়।

আদেশনামায় দেখানো হয়েছে যে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে আসামিদের ৬ সপ্তাহের জামিন দেওয়া হয়েছে। এই জামিন শেষে তাদের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়। এই ভুয়া আদেশের তথ্য সংশ্লিষ্ট আদালতের নজরে আসে। এরপর এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন জালিয়াত চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আরজি জানান। এর প্রেক্ষিতে আদালত আসামিদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছিলেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জামিন জালিয়াতি: সিআইডির তদন্তে চারজনের নাম, গ্রেফতারের নির্দেশ

আপডেট টাইম : ০৯:৪১:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুন ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ বগুড়ায় মোটর মালিক গ্রুপে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের মামলায় ভুয়া আগাম জামিন আদেশ তৈরির ঘটনায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) তদন্তে ৪ জনের নাম উঠে এসেছে।

এরা হলেন, ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী রাজু আহমেদ রাজীব, বগুড়া আদালতের আইনজীবী তানজীম আল মিসবাহ, ঢাকা জজ কোর্টের কম্পিউটার অপারেটর মাসুদ রানা ও ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী সহকারী মো. সোহাগ। কারাগারে থাকা সোহাগ ইতোমধ্যেই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। হাইকোর্টে সিআইডির দাখিল করা প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

বুধবার বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। প্রতিবেদনের ওপর শুনানি শেষে আদালত দুই আইনজীবী ও কম্পিউটার অপারেটর মাসুদ রানাকে দুই সপ্তাহের মধ্যে গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে আগামী ২৩ জুন হাইকোর্টে হাজির হতে বলা হয়েছে।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারান্নুম মিতি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে আসামিদের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের জাল আদেশ দাখিল করে বগুড়ার আদালত থেকে জামিন নেওয়ার অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় হাইকোর্ট গত ২৪ ফেব্রুয়ারি এক আদেশে যুবলীগের সহ-সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত সভাপতি) ও কাউন্সিলর আমিনুল ইসলামসহ ৩০ আসামিকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। এই আদেশ বাস্তবায়ন করে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বগুড়া সদর থানার ওসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে বিষয়টি তদন্ত করে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।

গত ৯ ফেব্রুয়ারি বগুড়াতে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় পাল্টাপাল্টি তিনটি মামলা হয়। এরমধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহনের ছোটভাই মশিউল আলম বাদী হয়ে ১০ ফেব্রুয়ারি বগুড়া থানায় মামলা করেন। মামলায় যুবলীগের সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলামসহ ৩৩ জনের নাম উলে­খ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় হাইকোর্ট থেকে আমিনুল ইসলামসহ ৩০ জনের জামিন নেওয়ার একটি আদেশনামা (জামিন আদেশ) তৈরি করা হয়।

আদেশনামায় দেখানো হয়েছে যে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে আসামিদের ৬ সপ্তাহের জামিন দেওয়া হয়েছে। এই জামিন শেষে তাদের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়। এই ভুয়া আদেশের তথ্য সংশ্লিষ্ট আদালতের নজরে আসে। এরপর এ বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন জালিয়াত চক্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আরজি জানান। এর প্রেক্ষিতে আদালত আসামিদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছিলেন।