পাওনা টাকার জন্য গাছে বেঁধে নির্যাতন

Slider বিচিত্র


দক্ষিণ সুনামগঞ্জ: জেলার দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার শিমুলবাক ইউনিয়নের মুক্তাখাই গ্রামের বাসিন্দা ও মুক্তাখাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী তোফায়েল আহমদকে গাছে বেঁধে রেখে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। নির্যাতিত তোফায়েল আহমদ মুক্তাখাই গ্রামের ফজর আলীর ছেলে ।

এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) নির্যাতনের শিকার ওই দপ্তরী মো. তোফায়েল আহমদ (৩২) বাদী হয়ে একই গ্রামের মনোয়ার আলীর পুত্র শাহনুর মিয়ার (৩৫) বিরুদ্ধে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানায় নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। সরেজমিনে জানা যায়, মুক্তাখাই গ্রামের বাসিন্দা ও মুক্তখাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী তোফায়েল আহমদ জামিনদার হিসাবে তার আপন চাচাতো ভাই একই গ্রামের আজমত আলীর ছেলে শাহ জাহানকে নির্যাতনকারী শাহানুর মিয়ার নিকট থেকে জামিনদার হয়ে প্রায় ২ বছর আগে ১ লক্ষ টাকা ধারে নিয়ে দেয়। ঋণ গ্রহিতা শাহজাহান মিয়া নির্ধারিত সময়ে টাকা না দেওয়ায় শাহানুর মিয়া বিষয়টি স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের অবহিত করেন। বিষয়টি নিয়া গ্রামের লোকজন একাধিকবার শালিস বৈঠক ও পঞ্চায়েত হলেও জামিনদার তোফায়ের আহমদ ও তাহার চাচাতো ভাই শাহজাহান মিয়া উল্লেখিত টাকা দেই দিচ্ছি বলে সময় নিতে থাকে এবং ঋণগ্রহিতা শাহজাহান মিয়া মুক্তখাই গ্রাম হতে অন্যত্র চলে যায়। দীর্ঘ ২ বছরেও পাওনা টাকা না পেয়ে মুক্তাখাই গ্রামের বাসিন্দা ও মুক্তাখাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী মো. তোফায়েল আহমদকে গত রবিবার (৬ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ টায় মুক্তাখাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে পেয়ে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে গাছের লতাপাতা দিয়ে বেধে পাওনাদার শাহনুর মিয়া মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করে।

এতে তোফায়েলের শরীরের বিভিন্ন জায়গা জখম হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তোফায়েল আহমদকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

এই ঘটনায় মঙ্গলবার একটি ভিডিও ক্লিপটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। ভিডিও ক্লিপটি পর্যালোচনায় নির্যাতনকারী শাহনুর মিয়া এক লক্ষ টাকা বলিয়া মো. তোফায়েল আহমদকে পেঠাতে থাকে। এতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর থেকে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী মুক্তাদির হোসেন জানান-লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *